যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা সফর করলেন নেতানিয়াহু, বিতর্ক তুঙ্গে
১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৫ পিএম | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম

মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা আর সহিংসতার মাঝে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর গাজা সফর নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার উত্তরাঞ্চলে এই সফর এমন এক সময়ে হয়েছে, যখন ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ব্যাপক ভূমি দখল ও প্রাণঘাতী অভিযান চালাচ্ছে, আর হাজার হাজার সাধারণ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ছেন। নেতানিয়াহুর এই ‘পরিদর্শন’ শান্তির বার্তা বয়ে আনে নি; বরং নতুন করে যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান এবং সংঘাতের ধারাবাহিকতা নিয়েই শঙ্কা বাড়িয়েছে।
মঙ্গলবার গাজার উত্তরাঞ্চলে সফর করেন নেতানিয়াহু। এ সফর হয় এমন এক সময়ে, যখন দুই মাসের যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়ে ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল নতুন করে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তিনি ওই এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে যান। তবে সফরের বিস্তারিত বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইসরায়েলি প্রশাসন কোনও তথ্য জানায়নি। এই সফরকে রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে—ইসরায়েল তাদের অভিযান থেকে সরে আসছে না এবং গাজা এখনো তাদের কড়া নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেটিই বিশ্বকে দেখানো হচ্ছে।
ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের ফলে গাজার একটি বড় অংশ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার। গাজার হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র এমনকি মসজিদ ও স্কুলেও হামলা চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার সাধারণ মানুষ, যারা নিজের জীবন আর পরিবার বাঁচাতে পথে নেমেছেন। এমনকি যুদ্ধবিরতির সময়েও এসব হামলা বন্ধ হয়নি, বরং নতুন করে তা বেড়েছে। হাসপাতালগুলোতে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম, নেই নিরাপত্তা—নিত্যদিনের বাস্তবতা এখন মৃত্যু আর শোকের ছায়া।
এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল হামাসকে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়, তবে শর্ত হিসেবে অস্ত্র সমর্পণের দাবি জানায়। কিন্তু গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার বা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি ইসরায়েল। তাই হামাস স্পষ্টভাবেই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলের প্রস্তাবের লক্ষ্য ছিল কেবল হামাসকে দুর্বল করা, শান্তি আনার কোনো আন্তরিক চেষ্টা নয়। যুদ্ধ ও অবরোধের মধ্যে আটকে থাকা গাজাবাসীদের জীবনে তাই আশার আলো এখনো অনিশ্চিত।
নেতানিয়াহুর গাজা সফর কেবল একটি রাজনৈতিক প্রদর্শনী নয়—এটি বিশ্ববাসীর কাছে ইঙ্গিত, এই যুদ্ধ সহজে শেষ হচ্ছে না। গাজার জনগণ প্রতিনিয়ত যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন, তার প্রতিকার এখনও অদৃশ্য। শান্তি তখনই আসবে, যখন সম্মান, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার একত্রে নিশ্চিত হবে। আর তার আগে বিশ্বকে অবশ্যই নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াতে হবে, নীরব দর্শক হয়ে নয়, সক্রিয় সহযোদ্ধা হিসেবে। তথ্যসূত্র : এএফপি
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

মতলবে গ্যাস অনুসন্ধানে বাপেক্সের কূপ খনন

নিকুঞ্জে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ করলেন এলাকাবাসী

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ফিরবে গণতন্ত্রের মূলধারা: শহিদুল ইসলাম

বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে বাগদাদ, তৃতীয় ঢাকা

সউদীর কাছে ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র

সোহরাওয়ার্দীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ চলছে

ইন্তেকাল করেছেন আল্লামা সোলতান যাওক নদভী, বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ

লেবাননের নিরাপত্তা ইস্যুতে হামাসকে সতর্কবার্তা

হজের আগে মক্কায় তীব্র শিলাবৃষ্টি ও ধুলিঝড়

ভারতের গোয়ায় মন্দির উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহত অন্তত ৭

ওটিটিতে মুক্তি পেল স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘সুব্রত সেনগুপ্ত’

শ্রমিকেরা পুঁজিপতিদের ক্রীতদাসে পরিণত হয়ে আছেন : সাবেক এমপি মঞ্জু

যারা বিএনপিকে মাইনাস করতে যাবে তারা রাজনীতি থেকেই হারিয়ে যাবে: চাটমোহরে হাবিব

সিন্ধু নদে বাঁধ দিলে সামরিক হামলার হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

মিয়ানমারে ভূমিকম্প পরবর্তী সামরিক হামলায় নিহত ২০০ জনের বেশি

জিম্মি মুক্তি নয়, যুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্য হামাসকে পরাজিত করা : নেতানিয়াহু

হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-নাভরোৎসকি সাক্ষাৎ নিয়ে পোল্যান্ডে উত্তেজনা

সকালে কাতার গেলেন সেনাপ্রধান

৪৩ ফ্লাইটে সউদী আরব পৌঁছেছেন ১৭৬৯৪ হজযাত্রী

ইউরোপে টিকটককে ৫৩০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা